ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের ধরন যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে কাজ করেন এবং কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা নিয়োগকর্তার সাথে কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন না। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য প্রকল্প বা নির্দিষ্ট কাজের ভিত্তিতে সেবা প্রদান করেন। ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি নিজের সময় নির্ধারণ করে কাজ করতে পারেন, ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একটি নিজস্ব ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?
আজ, ইন্টারনেট এবং এর ব্যবহার প্রায় সব জায়গায় হচ্ছে, এবং, ফ্রিল্যান্সিং( freelancing )এর কাজ করার জন্য, সবচেয়ে প্রথম , এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা আপনার লাগবে, সেটা হলো ইন্টারনেট ইন্টারনেট ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কল্পনাও করা যায় না কারণ ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টের কাজ জমা দেওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করতে হয়তাছাড়া, এই মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আপনার বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কিংবা মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকে ইন্টারনেটের দ্বারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলিতে গিয়ে আপনার দক্ষতা শেয়ার করতে হবে এভাবে আপনার ক্লাইন্ট আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে নিজের দক্ষতা প্রচার করলে, লোকেরা জানতে পারবেন যে আপনি কোন ধরনের কাজের বিশেষজ্ঞ এবং কোন কাজ আপনি তাদের জন্য করতে পারবেন । উদাহরণ স্বরূপে, আপনি ব্লগিং এবং SEO করতে এক্সপার্ট । এক্ষেত্রে, আপনি যদি লোকেদের আপনার দক্ষতার ব্যাপারে না জানান, তাহলে তারা জানবেন কিভাবে যে আপনি তাদের জন্য SEO এর সাথে জড়িত কাজ করে দিতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার শুরু করার সাথে সাথে, নিজের কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, অনলাইন প্রচার করাটা অনেক জরুরি । মনে রাখবেন, অনলাইন যেকোনো মাধ্যমে যখন অধিক ক্লাইন্ট আপনাকে কোনো কাজ দিবেন, তখন তারা আপনার ওপরে অনেক ভরসা করেই সেই কাজটি দিবেন । তাই, আপনার কাজের ভালো নাম, কাজের অভিজ্ঞতা, ভালো দক্ষতা এগুলি হবে আপনার নামের পরিচয় । এবং, আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে, একটি ভালো নাম তৈরি করতে পারলেই, অধিক ক্লাইন্ট সহজে আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ দিবেন ।
কিভাবে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হয়? (How to communicate with the client)
মার্কেটপ্লেসে থেকে কীভাবে কাজ পাবেন?( How to get work from marketplace)
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার একটি প্রোফাইল প্রয়োজন । আপনার প্রোফাইলটিকে খুবই সুন্দর সাজাতে হবে যাতে আপনি যখন কাজের জন্য এপ্লাই করবেন, তখন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখেই আকৃষ্ট হয় । সেজন্য আপনাকে একটা সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সুন্দর একটা প্রোফাইল বানাতে হলে আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলে ঢুকেই সর্বপ্রথম যা চোখে পরে তা হচ্ছে আপনার ছবি । প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সুন্দর ছবি ব্যবহার করবেন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখেই আকৃষ্ট হয়, তারপর আপনি যে বিষয়ে ভালো কাজ জানেন, সে বিষয়টি নিয়ে দুই- একটা কাজ সেখানে রাখতে হবে । আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনার মার্কেটপ্লেস প্রোফাইলে ডেসক্রিপশন লিখবেন ।
Upwork, Freelancer.com এর মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ক্রমাগত আপনার দক্ষতা উন্নত করতে হবে । একাউন্ট খোলার সময় কোন ফেক তথ্য দিবেন না । আপনার একাউন্টের নাম, এনআইডি এবং ব্যাংক একাউন্ট সব জায়গায় নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি একই হতে হবে । এসব নিয়ম মেনে মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল সাজাতে পারলে মার্কেটপ্লেসে থেকে কাজ পাবেন ।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সুবিধা
- সময়ের স্বাধীনতা যেমন আপনার যখন কাজ করার প্রয়োজন হবে তখনই করে ফেলতে পারবেন এখানে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মত সময়ের বাধ্যকতা নেই ।
- কাজের স্বাধীনতা আপনার যখন কাজ করার প্রয়োজন হবে তখনই করে ফেলতে পারবেন
- নিজের বেতন নিজে ঠিক করা
- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা সুযোগ এবং অভিজ্ঞতা নেওয়া
- দলগত কাজের সুযোগ
- পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ
- নিজের মন মতো কাজের পরিবেশ
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু অসুবিধা
- সব মাসে সমান উপার্জন নাও হতে পারে
- অতিরিক্ত কাজের কারণে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে
- আপনাকে ক্রমাগত আপনার দক্ষতা উন্নত করতে হবে
এই ছিল মূলত ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভালো মন্দ উভয় দিক থাকে। এক্ষেত্রেও ভালো মন্দ উভয় দিক বিদ্যমান যা আমরা আলোচনা করেছি বিস্তারিতভাবে।
আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে এখানে চাপুন